ঝাউবন আজ ও স্মৃতিতে

 চিরন্তন আড্ডাবাজ বাঙালির গল্প আড্ডায় ভ্রমণ কথা থাকবে না তাও কি হয়... তাই গল্প আড্ডা র প্রথম পর্ব ই আরম্ভ করছি  বেড়ানোর গল্প দিয়ে ..আজ থেকে প্রায় ২৫ বছর আগের কথা , চোখ খুলে প্রথম যেদিন সমুদ্র দেখলাম হা ঠিক ই প্রথম বার সারারাত ট্রেন এ করে পৌঁছে গেছি পুরি..আজকের পুরি র সাথে সেদিনের পুরি কিন্তু  সম্পূর্ণ ভিন্ন ...


 
 
সে ছিল এক অন্য চরাচর..বিস্তীর্ণ বালিরাশির মধ্যে সুবিন্যাস্ত ঝাউবন..দোকান পাঠ বাজার হাট অথবা হোটেল সমুদ্রের ধরে ছিল না কিছুই...ছিল শুধু বিশাল নীল সমুদ্র আর তার গর্জন ..এমন গর্জন ছোট্ট মন খুব  ভয়ে পেয়ে গেলো..সে আর কিছুতেই সমুদ্রের কাছে যাবে না ...ভয়ে পেয়ে সোজা ঢুকে গেলো ঝাউবনে...সেই ঘন সবুজ নির্জন নিরালা  হারিয়ে গাছে জনস্রোতে ...আজ এতদিন পর সত্যি খুব বেশি করে ফিরে পেতে   ইচ্ছে করে সেই সবুজ বনানী ...ইচ্ছা করলেও ফেরার পথ সত্যি থাকে না ...তবে এখন এই ঝাউবনের খুব সামান্য অংশ রয়ে গাছে ওড়িষ্যার অন্য একটি জায়গা চাঁদিপুরে ...তাই এখনো যারা একটু একান্ত সময়ে কাটাতে চাইবেন প্রকৃতির সানিধ্যে তারা অতি অবশ্যই সপ্তাহ আন্তে ছোট্ট ছুটি কাটিয়া আস্তে পারেন চাঁদিপুরে...প্রকৃতির কোলে শুয়ে বসে বুকভরা অক্সিজেন নিয়ে এসে ছড়িয়ে দিন সকলের মাঝে..যন্ত্রযুগে অভ্যস্ত হলেও  এই প্রকৃতি আমাদের আদি ও অকৃত্রিম আশ্রয়স্থল...তাই না !! 

Comments

Post a Comment