নস্টালজিয়ায় চিঠি
কলকাতা দুর্গোৎসব আর দুর্গোৎসবের কলকাতা - সপ্তমীর রাতে মিলে মিশে একাকার, আর নিত্য নতুন থিমের জোয়ারে বিগত বেশ কিছু বছরই ভাসমান কলকাতা নর্থ থেকে সাউথ মাত্র কদিনে শেষ করতে হবে কয়েকশো প্যান্ডেল তাই ইদানিং কালে প্রথমা থেকে ই আরম্ভ মানুষের ঠাকুর দেখতে যাওয়া এদিকে থিম পুজোর মাতামাতিতে আমার মতো অনেকেরই ওষ্ঠাগত প্রাণ, ভিড়ের ঠেলা খাওয়ার ভয়ে কলকাতা ঘুরে ঘুরে ঠাকুর দেখা একপ্রকার ছেড়ে ই দিয়েছি নেহাত বন্ধুর পাল্লায় পরে নিতান্ত নিমরাজি মুখে বেড়িয়েছি প্যান্ডেল আর প্রতিমা দেখতে. কিন্তু দেখবো শুধু অনামী ঠাকুর..নামি প্যান্ডেলে তিনঘন্টা লাইন দেব না এমন শর্তেই বেড়িয়েছি .
হাটতে হাটতে ছোট্ট একটা গলির সামনে দাঁড়িয়ে পড়লাম ..গলির মুখে অনেক গুলো লেটার বক্স দেখে ঢুকে গেলাম ভেতরে,দাঁড়ালাম এক রাশ ইতিহাসের সামনে মণ্ডপ সজ্জায় উঠে এসেছে চিঠির কয়েকটি ছত্র .. অত্যন্ত সাধারণ অথচ কি নিবিড় ভাবনার স্ফুরণ. আমরা যারা একটু গতিহীন সময় জন্মেছি তারা একটু হলেও পরিচিত বাড়িতে চিঠি আশা অথবা চিঠি লেখার সঙ্গে বিশেষ করে বিজয় দশমীর প্রণাম জানাতে বছরে একবারও মানুষ চিঠি লিখতো .অথবা ছোট্ট অবসরে অনুভবের খেয়াল টুকু একান্ত প্রিয়জন পৌঁছে দেওয়ার একমাত্র অবলম্বন চিঠি গতি যুগের এস আমি এস আরো শ'খানেক সোশ্যাল মিডিয়া কে ছাপিয়ে আজ উঠে এসেছে বাঙালির মহা উৎসবের থিমে.নতুন প্রজন্ম কে চিঠি সাথে পরিচয় করানো আর আমরা যারা ছোটবেলায় চিঠির আস্বাদ থেকে বঞ্চিত হয়নি তাদের সুখ স্মৃতিকে জাগিয়ে দেওয়ার জন্য মন থেকে ধন্যবাদ জানাই পুজো উদ্যোক্তাদের আর অব্শ্যই লহরী তোকেও ......
লহরী
ReplyDeleteSo true....ami akdin beriyei virer chote palai palai kore6i...r bero66i na..
ReplyDelete